মাসুম আহমদ- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের অর্থ যোগান দাতাকে ওএমএস ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । এ নিয়ে উপজেলার জুড়ে আলোচনা সমালোচার ঝড় বইছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের সদস্য ও অর্থ যোগান দাতা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে ক্ষমতা দেখিয়ে একাধিক ডিলারশীপ নিয়ে নেয়। তার জন্য বাজারের ব্যবসায়ীরা কোন ডিলারশীপ আনতে পারে না। ক্ষমতা ও টাকা দিয়ে সব ডিলার নিয়ে অদূ্শ্য হাত দিয়ে সব কিছু নিয়ে নেয়। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর সারা দেশে সরকারী বিভিন্ন ডিলারশীপে পরিবর্তন আসলেও শুধু এই ইউনিয়নে পরিবর্তন আসে নাই। বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় স্থানীয় নেতাদের হাত করে ওএমএস ডিলারশীপ নিয়োগ পেয়েছেন। যারা বিগত ১৭ বছর ডিলারশীস নিতে পারে নাই এবার আবেদন করলেও তাদের আবেদন অনুমোদন হয় নাই। এই আওয়ামী লীগের নেতা ওএমএস, টিসিবি, বিজিডি, সার সহ বিভিন্ন ধরনের সরকারী মাল বিক্রয় করে। একবার দূনীর্তি ও কালো বাজারে মালামাল বিক্রয় করায় র্যা বএ ধরে নিয়ে যায়, জেলও কাটে। এর পর স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, সম্প্রতি রানীগঞ্জ ইউনিয়নের জন্য ওএমএস ডিলার নিয়োগের আহবান করা হয়। এই আহবানে সাড়া দিয়ে আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্টানের তথ্য দিয়ে আবেদন করি। আবেদনের আলোকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্টান পরিদর্শন করা হয়। আমি আশাবাদি ছিলাম ওএমএস ডিলার পাব কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের ধারাবাহিকতায় আবারও আওয়ামী লীগের অর্থ যোগান দাতা ধনেশ রায়কে ডিলারশীপ দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে দেশ কি ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে না আগের আওয়ামী লীগ ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের উপজেলা তো কোন পরিবর্তন দেখতে পারছি না। আওয়ামী লীগের নেতায় যদি আবাও ওএমএস ডিলার পায়। কেন এত লোক শহিদ হল কেন একটি যুদ্ধ করতে হল। আমার প্রশাসনের নিকট তার সব ডকুমেন্ট দিয়ে অভিযোগ দিয়েছি, প্রশাসনের নিকট আবেদন এ বিষয়টি দেখবেন।
ওএমএস ডিলারশীপ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ধনেশ রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হন নাই।
উপজেলা ওএমএস কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বরকত উল্লাহ সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ধনেশ রায়কে ওএমএস ডিলার দেওয়া হয়েছে।